‘নূরুল আলমের বিয়ে’তে আফজাল-সুবর্ণা

বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকে সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফা দীর্ঘদিন পর আবারো একসঙ্গে অভিনয় করলেন। বদরুল আনাম সৌদের রচনা এবং আরিফ খানের পরিচালনায় নির্মিত এই নাটকটির নাম ‘নূরুল আলমের বিয়ে’। নাটকে নূরুল আলমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন। আর সুবর্ণা মুস্তফাকে দেখা যাবে মহিলা ঘটকের চরিত্রে। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নূরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে বিপত্নীক। দুই ছেলে তার, দুইজনই থাকেন দেশের বাইরে। এর মাঝে কখনো কখনো নিজের একজন জীবনসঙ্গীর অভাব বোধ করলেও বয়সের কারণে কাউকে কখনো বলে উঠতে পারেননি কথাটা। আর বলবেনই বা কিভাবে? বয়স তো বেলাশেষে কম হলো না তার। কিন্তু এবার অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী ছেলে বেড়াতে এসে যাওয়ার সময় নূরুল আলমকে বলে বিয়ে করতে। মনে মনে অনেক খুশি হলেও অনেক অনিচ্ছা দেখায় বিয়ে করতে। তবে ছেলের জোরাজুরিতে বলে সে পুরো ব্যাপারটা ভেবে দেখবে। ছেলে চলে যেতেই ঘটকের খোঁজ করেন নূরুল আলম। সেরা ঘটক চাই তার। কারণ নিজের জন্য যথাযথ স্ত্রী চান এবার। কেননা আগের স্ত্রী বড়ই দজ্জাল ছিল। যতদিন বেঁচে ছিল জীবনটা তার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে কয়লা করে দিয়েছিল। ঘটক আসে, থুক্কু মহিলা ঘটক। যদিও মহিলাকে একেবারেই পছন্দ হয় না নূরুল আলমের, কিন্তু কি আর করা? শহরের সেরা ঘটক বলে কথা। ঘটক জানতে চায় কেমন পাত্রী চাই নূরুল আলমের। নিজের কল্পনার সব রং মিশিয়ে পাত্রীর বর্ণনা দেন নূরুল আলম। খোঁজ শুরু হয় পাত্রীর। নূরুল আলম ও ঘটক একের পর এক কনে দেখে যায়, কিন্তু কোনোটাই পছন্দ হয় না নূরুল আলমের। কারো বয়স বেশি তো কারো কম। কেউ বেশি শান্ত কেউ আবার বড়ই মুখরা। এই পাত্রীর খোঁজে দিন পাড় করতে করতে এক সময় নূরুল আলম আবিষ্কার করেন, ঘটকেরই প্রেমে পড়ে গেছেন তিনি। কিন্তু সমস্যা হলো বলবেন কিভাবে? একে তো তার কল্পনার স্ত্রীর সঙ্গে কোনো মিল নেই এই মহিলার তার উপর আবার ভীষণ দজ্জাল আর মুখরা। এমনকি তার প্রথম স্ত্রী যে কি না জীবনটা কয়লা করে দিয়েছিল তার, তার থেকেও ভয়ানক এই ঘটক মহিলা। নূরুল আলম বুঝে পান না কি করবেন তিনি, আর তার কপালটাই বা এমন কেন? ‘নূরুল আলমের বিয়ে’ নাটকটি এটিএন বাংলায় ঈদের পরদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে।